Sunday, July 18, 2010

এমবেডেড সাংবাদিকতা এখন বেপরোয়া, ইসলামী ও জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ওদের টার্গেট

আসিফ আরসালান : সরকারের মন্ত্রী ও সরকারি দলের লোকদের কথাবার্তা প্রমাণ করছে জামায়াতে ইসলামীকে কাজ করতে না দেয়া এবং জামায়াত নেতৃবৃন্দকে নিষ্ক্রিয় করাই তাদের লক্ষ্য এর মাধ্যমে চারদলীয় জোটকে আর কখনও ক্ষমতায় আসতে না দেয়ার লক্ষ্য তারা অর্জন করতে চায় ইতিমধ্যে বিএনপি'র উপরও চারদিক থেকে আঘাত হানা হচ্ছে জামায়াতকে দুর্বল করতে পারলে বিএনপি'র উপর তারা আরও বেশি চড়াও হবে এভাবেই চারদলীয় জোটের ক্ষমতায় আসার পথ চিরতরে রুদ্ধ হবে বলে তারা মনে করছে এই বিশাল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের সাথে সাথে সরকার এদেশে ভারতের মাথা ব্যথার কারণ ইসলামী শক্তিকে নির্মূল করার কাজও এইবার শেষ করতে চায় স্বাধীনতা-উত্তর শেখ মুজিব সরকার যুদ্ধাপরাধ ইস্যুর ইতি ঘটিয়ে গেছেন, সেই ইস্যুই পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে জামায়াতকে ভিকটিম বানাবার জন্যে যুদ্ধাপরাধের বিচার যে তাদের কাছে বড় বিষয় নয়, আসল বিষয় হলো জামায়াত ও জামায়াত নেতৃবৃন্দকে রাজনৈতিক নিষ্ক্রিয় করা এখন জামায়াত নেতৃবৃন্দকে যেভাবে নানারকম সাজানো কেসে জড়ানো হচ্ছে এবং যেভাবে তাদের রিমান্ডে নিয়ে রিমান্ডকে রাজনৈতিক প্রপাগান্ডার হাতিয়ারে পরিণত করা হয়েছে, তাতেই এই বিষয়টি পরিষ্কার হচ্ছে জেএমবি-জামায়াত নেক্সাস আবিষ্কারের সাজানো কাহিনীও এই প্রপাগান্ডায় যোগ করেছে এমবেডেড সাংবাদিকরা জেএমবি'র মত জঙ্গী দমনে যারা দুনিয়ায় বেনজীর সাফল্য অর্জন করেছে, তাদেরকেই আজ জঙ্গী সাজাচ্ছে এমবেডেড সাংবাদিকরা আর রিমান্ডকে এই প্রপাগান্ডার অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে

রিমান্ডে স্বীকারোক্তি আদায়ের নামে সেখানে যে কি কান্ডকারখানা চলছে সেটি জানেন একমাত্র আলেমুল গায়েব তবে একশ্রেণীর এমবেডেড পত্র-পত্রিকা বা প্রভূভক্ত মিডিয়া স্বীকারোক্তির নামে যা কিছু ছাপাচ্ছে সেগুলো পড়লে আক্কেল গুড়ুম হয়ে যায় গত বৃহস্পতিবারের দুই একটি পত্র-পত্রিকায় দেখলাম, জেএমবি নেতা সাইদুর রহমান এবং জামায়াতের তিন শীর্ষ নেতাকে নাকি মুখোমুখি করা হয়েছিল সাইদুর রহমান কি কি বলেছেন আর মাওলানা নিজামী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং জনাব মুজাহিদ কিভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সেগুলোও হুবহু ছাপা হয়েছে ওই দুই একটি চিহৃিত পত্র-পত্রিকায় পড়লে মনে হবে যে সিনেমা হলে বসে আপনি একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা দেখছেন অথবা টেলিভিশনে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য টেলিফিল্ম দেখছেন সাইদুর রহমান কি বললেন, জামায়াত নেতারা কি কি উত্তর দিলেন এবং কে কি রকম অঙ্গভঙ্গি করলেন, তারো বিশদ বিবরণ রয়েছে ওই রিপোর্টে রিপোর্টার সাহেব বা ওই পত্রিকার কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিটি দৃশ্য ফ্রেম টু ফ্রেম জানলেন কিভাবে? যখন জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছিল তখন কি তিনি সেখানে হাজির ছিলেন? গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা কি জিজ্ঞাসাবাদ হুবহু রিপোর্ট করার জন্য ওই সব রিপোর্টারকে সেই সময় ওখানে বসিয়ে রেখেছিলেন? দুনিয়ার মানুষ জানে যে গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ অত্যন্ত গোপনীয় একটি বিষয় এটি বাইরের দুনিয়ার কারো কাছে জানানো হয় না তাই ধারণা করা অসঙ্গত নয় যে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওইসব রিপোর্টাররা সেখানে হাজির ছিলেন না তাহলে কিভাবে ওই খবর বেরিয়ে এলো? একটি বিষয় হতে পারে এই যে, সমগ্র জিজ্ঞাসাবাদটি গোয়েন্দা দফতর ক্যাসেট বা সিডিতে ধারণ করেছেন এরপর সেই সিডি তাদের পছন্দ মতো পত্র পত্রিকায় প্রেরণ করেছেন আর রিপোর্টার সাহেবরাও ওই সিডি বাজিয়ে বাজিয়ে সেগুলো লিখেছেন এবং পত্রিকায় সেগুলো ছাপা হয়েছে এটিও কি কোনদিন সম্ভব? সরকারের গোপন একটি বিভাগ কি কোন দিন এসব গোপনীয় বিষয় রেকর্ড করে সেগুলো বাইরে প্রেরণ করতে পারে? আপনারা কি কোনদিন এসব কথা শুনেছেন? সুতরাং এখানেও যৌক্তিকভাবে ধারণা করা যায় যে, গোয়েন্দা দফতর সিডি করে সেগুলো পত্র-পত্রিকায় পাঠাননি তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা থাকে আরেকটি সেটি হলো এই যে, ওই জিজ্ঞাসাবাদের হুবহু বর্ণনা গোযেন্দা সাহেবরা লিখে ফেলেন এবং সেগুলো কম্পিউটারে কম্পোজ করে তারপর প্রিন্ট করে তাদের মুখ চেনা পত্র-পত্রিকায় পাঠিয়ে দেন পত্রিকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই রিপোর্ট ছাপিয়ে দিয়েছে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো এই যে, যে ২/৩টি কাগজে এইসব রিপোর্ট ছাপা হয়েছে সেই দুই তিনটি কাগজের রিপোর্ট মোটামুটি একই রকম এটিকে সাংবাদিকরা বলেন সিন্ডিকেটেড রিপোর্টিং তাহলে গোয়েন্দা সাহেবরা কি এইভাবেই, অর্থাৎ টাইপ করে সেই সব রিপোর্ট পত্র পত্রিকায় পাঠিয়েছেন? এ কথাটিও বিশ্বাস করতে বা গ্রহণ করতে মন চায় না কারণ, এই ধরনের কাজ সরকারের সব রকম নিয়ম-কানুনের পরিপন্থী এই সব নিয়ম কানুনকে জুতার তলায় পিষে না ফেললে এমন নীতি বহির্ভূত এবং গর্হিত কাজ করা যায় না তো আমাদের গোয়েন্দা বিভাগ কি নিয়মনীতির কোন ধারই ধারছেন না? আবার বলছি, এসব কথা আমরা বিশ্বাস করতে চাচ্ছি না তাহলে একই ধরনের রিপোর্ট বের হচ্ছে কিভাবে? এখানে একটি কথা বলে রাখতে চাই যে, প্রকাশিত রিপোর্টগুলো ডাহা মিথ্যা তারপরেও কিভাবে এমন মিথ্যা ঘটনা সত্য বলে চাপিয়ে দেয়ার জন্য চমৎকারভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে অনুগত পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে পরিবেশন করা হচ্ছে, সেই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি একটি বিষয় হতে পারে সেটি হলো এই যে সরকার ইতোমধ্যেই জামায়াতে ইসলামীর ব্যাপারে একটি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে এসেছে সেই সিদ্ধান্ত এখন তারা বাস্তবায়িত করতে যাচ্ছে যেহেতু সমগ্র বিষয়টি একটি মিথ্যার ভিত্তির ওপর সরকার দাঁড় করাতে চাচ্ছে, তাই মিথ্যাটা জনগণের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য একই কথা বারবার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতে হচ্ছে সেই কাজটি তারা গোয়েন্দা বিভাগকে দিয়ে করাচ্ছে দেখে শুনে মনে হচ্ছে যে, সরকার গোয়েন্দা বিভাগকে হুকুম করেছে, তাদের বাছাই করা পত্রিকাগুলোর রিপোর্টাদেরকে কি কি বলতে হবে সরকারের হুকুম মতো পুলিশ বা গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন সেভাবেই প্রতিদিন সাংবাদিকদেরকে ব্রিফিং দিচ্ছে সরকারের শেখানো বুলি গোয়েন্দা বিভাগ তোতা পাখির মতো বলে যাচ্ছে আর পত্র-পত্রিকাগুলো তোতা পাখির মুখ থেকে শোনা কথাগুলো কোনরকম যাচাই বাছাই করা ছাড়াই হুবহু লিখে যাচ্ছে এভাবেই প্রতিদিন জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে এমবেডেড রিপোর্ট প্রকাশ পাচ্ছে তাই দেখা যায় যে, আজ থেকে ৫ বছর আগে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশ জুড়ে যে বোমা হামলা হয়েছিল, ৫ বছর পর সেই বোমা হামলার বিবরণের নতুন ভাষ্য পরিবেশিত হচ্ছে
\ দুই \
সরকার এবং তার গোয়েন্দা বিভাগ সম্পর্কে আরো কিছু কথা বলার আগে একশ্রেণীর এমবেডেড সাংবাদিক সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয় দুঃখ হয় যে, সাংবাদিকতার নামে একশ্রেণীর সাংবাদিক এমন সব কাজ করছেন যেগুলো দেখে মনে হয় যে তারা সাংবাদিক নন, সাংবাদিক নামের আড়ালে তারা আওয়ামী লীগের ছদ্মবেশী ক্যাডার জনাব কামারুজ্জামান এবং জনাব কাদের মোল্লা গ্রেফতার হলেন বস্তুনিষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা দাবী করে যে, যেভাবে এবং যে পটভূমিতে তারা গ্রেফতার হয়েছেন সেইভাবেই তারা রিপোর্ট করবেন কিন্তু দু'একটি চ্যানেলে দেখা গেল যে, সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার গ্রেফতারের ঘটনাটি রিপোর্ট করার চেয়েও জনাব কামারুজ্জামান এবং জনাব কাদের মোল্লার চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধার করাতেই বেশী ব্যস্ত তারা দু'জন মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস কোথায় কি করেছেন সেগুলোর এক দীর্ঘ ফিরিস্তি প্রদানেই তারা ছিলেন বেশী উৎসাহী যে দু'জন রিপোর্টার দু'টি প্রাইভেট চ্যানেলে এই দুই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে তীব্র বিষ উ গীরণ করলেন তাদের বয়স কিন্তু ৩৫ এর বেশী হবে না অথচ যেসব ঘটনা তারা হিংসাত্মক ভাষায় বর্ণনা করলেন সেই সব ঘটনা ঘটেছে ৩৯ বছর আগে অর্থাৎ তাদের জন্মেরও ৪ বছর আগে ওইসব ঘটনা ঘটেছে তাহলে তাদের জন্মের আগে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেই সব ঘটনা তারা অতো দৃঢ়তার সাথে বলেন কিভাবে? এর আগে দেখা গেছে যে মাওলানা নিজামী, জনাব মুজাহিদ এবং মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধেও একই ধরনের অপপ্রচারের পুনরাবৃত্তির ঘটনা ঘটেছে যাচাই বাছাই না করে একটি রাজনৈতিক দল বা তার নেতৃবৃন্দকে ঢালাওভাবে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রচার করা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার নীতির সাথে কতদূর সঙ্গতিপূর্ণ? সাংবাদিকতা সম্পর্কে যাদের সামান্যতম ধারণাও আছে তারা জানেন যে, এ ধরনের অপপ্রচার নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার সম্পূর্ণ পরিপন্থী তারপরেও কিন্তু তারা অবলীলাক্রমে এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়েই যাচ্ছে একেক দিন একেক নেতার নামে তারা রিপোর্ট প্রকাশ করছেন ওসব রিপোর্টে সেই একই কায়দায় নরকঙ্কাল বা বধ্যভূমি দেখানো হচ্ছে কিন্তু ওই সব হত্যাকান্ডে যে জামায়াতের নেতারা জড়িত ছিলেন তার উপরে একটিও সুনির্দিষ্ট তথ্য আজ পর্যন্ত তারা হাজির করতে পারেনি অথচ জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে তারা সমানে বিষ উ গীরণ করে যাচ্ছেন একটি মাত্র উদাহরণ দিচ্ছি পল্লবীতে সংঘটিত হত্যাকান্ডে জনাব কামারুজ্জামানকে জড়িত করা হচ্ছে কামারুজ্জামানের এই বক্তব্য যাচাই বাছাই করার জন্য তাদের তো উচিত ছিল তার সাথে যোগাযোগ করা তারপর তাদের মন্তব্য পেশ করা কিন্তু সেসবের ধারে কাছে না গিয়ে তারা ঢালাওভাবে তাদেরকে ওই গণহত্যার নায়ক বলে প্রচার করছেন তাদের এসব আচরণ থেকে বোঝা যায় যে, যুদ্ধাপরাধের বিচার তো দূরের কথা, এ সংক্রান্ত মামলা শুরু হওয়ায় আগেই সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে আর সেটি হলো, ছলে বলে বা কৌশলে, যেভাবেই হোক না কেন, জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসাতে হবে সে জন্যই কোনরূপ যাচাই বাছাই না করে মাওলানা নিজামী থেকে শুরু করে জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতার বিরুদ্ধে উন্মাদ এবং বল্গাহীন প্রচারণা শুরু করা হয়েছে
আমাদের এই কথার জ্বলন্ত প্রমাণ, কয়েক দিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির একটি মারাত্মক উক্তি কয়েকদিন আগে এক প্রেস-ব্রিফিংয়ে তিনি বলেছেন যে, ৪০ জন যুদ্ধাপরাধী যেন বিদেশ যেতে না পারে সে জন্য স্থল-নৌ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠানো হয়েছে কারা এই হতভাগ্য ৪০ ব্যক্তি? পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের নাম প্রকাশ করেননি তবে ইতোপূর্বে পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সময় বিক্ষিপ্তভাবে যে সব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সেসব তথ্য থেকে এই ৪০ ব্যক্তির নাম ধাম সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায় অবশিষ্টের অধিকাংশই জামায়াতের বলে পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সব রিপোর্টে বলা হয়েছে
সাইদুর রহমান কি কি বলেছেন আর মাওলানা নিজামী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং জনাব মুজাহিদ কিভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সেগুলোও হুবহু ছাপা হয়েছে ওই দুই একটি চিহ্নিত পত্র-পত্রিকায় পড়লে মনে হবে যে সিনেমা হলে বসে আপনি একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা দেখছেন অথবা টেলিভিশনে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য টেলিফিল্ম দেখছেন রিপোর্টার সাহেব বা ওই পত্রিকার কর্তৃপক্ষ জিজ্ঞাসাবাদের প্রতিটি দৃশ্য ফ্রেম টু ফ্রেম জানলেন কিভাবে? যখন জিজ্ঞাসাবাদ হচ্ছিল তখন কি তিনি সেখানে হাজির ছিলেন? গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা কি জিজ্ঞাসাবাদ হুবহু রিপোর্ট করার জন্য ওই সব রিপোর্টারকে সেই সময় ওখানে বসিয়ে রেখেছিলেন?

\ তিন \
যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠিত হয়েছে গঠিত হয়েছে বিচারকদের প্যানেল, গঠিত হয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের প্যানেল এরপর আর সরকারের কোন বক্তব্য থাকতে পারে না কোন ভূমিকাও থাকতে পারে না এখন যা কিছু করার সেটি করবে ওই বিচারক ট্রাইবুনাল এবং তদন্ত ও আইনজীবীদের প্যানেল তদন্ত কর্মকর্তারা যেসব অভিযোগ পাবেন সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতে তারা তদন্ত করবেন যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবেন তাদের বিরুদ্ধে যদি যুদ্ধাপরাধের সপক্ষে উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাদেরকে গ্রেফতার করার জন্য তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বলবেন সেই মোতাবেক সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গ্রেফতার করবেন অথবা অন্যবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন অন্যতম প্যানেল প্রধান এডভোকেট গোলাম আরিফ টিপু স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে, যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে তাদের কাছে এখন পর্যন্ত এমন কোন তথ্য প্রমাণ হাতে আসেনি যার ভিত্তিতে এখন কাউকে গ্রেফতারের জন্য তারা সুপারিশ করতে পারেন এই ধরনের প্রাইমাফ্যাসি এভিডেন্স বা প্রাথমিক সাক্ষ্য প্রমাণ তাদের হস্তগত হতে এখনও অন্তত পক্ষে আড়াই মাস সময় লাগবে এরআগে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না এটিই যখন আইনগত অবস্থা, তখন কোন্ আইনের বলে সরকার ৪০ ব্যক্তির বিদেশে যাওয়ার উপর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের কারণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন? এটি সম্পূর্ণ বেআইনী কিন্তু এই সরকার তো আইন কানুনের তোয়াক্কা করছে না আইন-কানুনের ধার না ধেরেই তারা জনাব কামারুজ্জামান এবং জনাব কাদের মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে এবং মাওলানা নিজামী জনাব মুজাহিদ এবং মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে একই গণহত্যার সাথে জড়িত করেছে যে কথা আমরা বারবার বলছি এবং এখন যার পুনরাবৃত্তি করছি সেটি হলো এই যে, আওয়ামী সরকারের টার্গেট হলো জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করা, সেই পুরানো কথার মতো, ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে' স্বৈরাচার বা বর্বরতা কোন পর্যায়ে গেলে নেতাদের সাথে সাথে তাদের সন্তানদেরও গ্রেফতার করা হয় তার প্রমাণ এই দুই নেতার সন্তান ও জামাতাদেরকে গ্রেফতার করা জনাব কামারুজ্জামানের পুত্র এবং জনাব কাদের মোল্লার পুত্র ও দুই জামাতা আটক পিতা এবং শ্বশুরের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন অথচ সেখানে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং রিমান্ডে নেয়া হয়েছে কোন গণতান্ত্রিক দেশ তো দূরের কথা, কোন সভ্য দেশে এমন অসভ্য আচরণ করার নজির খুঁজে পাওয়া যায় না
জেএমবির অস্থায়ী প্রধান জনাব সাইদুর রহমান এবং ভাগ্নে শহীদকে নিয়ে যে নাটক করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে অনেক শুভঙ্করের ফাঁক ব্যাপারটি শুধু সঙ্গতিবিহীনই নয়, রীতিমত ন্যক্কারজনক আজ আর এ সম্পর্কে লেখার স্পেস নাই আগামী ৭ দিনের মধ্যে নতুন কোন বড় ঘটনা না ঘটলে এই শুভঙ্করের ফাঁক নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছে রইল
বাংলাদেশে ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যে অতি জরুরি এই লক্ষ্য অর্জনের জন্যেই বহু চিন্তা-ভাবনা করে জামায়াতকে ভিকটিম বানাবার জন্যে যুদ্ধাপরাধ ইস্যু আবিষ্কার করা হয়েছে জনাব কামারুজ্জামান বলছেন যে, ৪০ বছর আগে সংঘটিত ওই ঘটনার সময় তিনি অকুস্থলের ত্রিসীমানাতেও ছিলেন না এদের মধ্যে একজন রয়েছেন বিএনপির জনাব সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাইদুর রহমান কি বললেন, জামায়াত নেতারা কি কি উত্তর দিলেন এবং কে কি রকম অঙ্গভঙ্গি করলেন, তারো বিশদ বিবরণ রয়েছে ওই রিপোর্টে

No comments: